Smart Citizenship Card 2025: আধার–ভোটার কার্ডের যুগ শেষ? আসছে দেশের নতুন স্মার্ট সিটিজেনশপ কার্ড, সকলেই পাবেন নাগরিকত্ব

ভারতে নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে এতদিন আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড কিংবা প্যান কার্ড ব্যবহার করা হত। কিন্তু এবার ভারত সরকার নিয়ে গেল নাগরিকত্বের জন্য নাগরিকত্ব স্মার্ট কার্ড। সকলকে দেওয়া হবে এই কার্ড এবং সকলেরই বানাতে হবে এই কার্ড। এই কার্ড না থাকলে আর নাগরিকত্ব থাকবে না। কেন্দ্র সরকার সকলকেই নাগরিকত্ব স্মার্ট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু করেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডের উপর থেকে আস্থা অনেকটাই নড়বড়ে হয়েছে। কারণ এগুলো নাগরিকত্ব প্রমাণ করে না।

কেন সরকারের এই পরিকল্পনা?

বর্তমান ভারতবর্ষে অনেক ভুয়ো আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড বানিয়ে নাগরিকত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু যারা অবৈধ তাদের বাদ দেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। তাই এবার কেন্দ্র সরকার নিয়ে এসেছেন আফ্রিকায় স্মার্ট কার্ড এবং এটি থাকলে সকলেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। এছাড়াও-

  • সরকারি ডাটাবেস থেকে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা হামেশাই দেখা যাচ্ছে।
  • জাল আধার বা পাসপোর্ট সহজেই তৈরি হয়ে যাওয়ায় নাগরিকত্ব প্রমাণের সমস্যা হচ্ছে।
  • বহু সাধারণ মানুষের কাছে জন্মসনদ বা জাতিগত প্রমাণপত্রের মতো নথি না থাকার তাহলে প্রথম সমস্যা হচ্ছে

এসব কারণে নাগরিকত্ব প্রমাণ করা অনেকের কাছেই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার আনছে Smart Citizenship Card। এটাই কাজ থাকলে আপনার আর কোন ডকুমেন্টের প্রয়োজন নেই, সকলেই না করে করতে পারবেন।

 কী এই স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড?

এটি হবে একটি অতি আধুনিক, সুরক্ষিত পরিচয়পত্র, যা নাগরিকত্ব প্রমাণের একমাত্র সরকারি নথি হিসেবে স্বীকৃত হবে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় এটিকে জাল করা প্রায় অসম্ভব। প্রতিটি বৈধ নাগরিকের জন্য এই কার্ড ইস্যু করা হবে, জনগণনা ও সমীক্ষার পর ধাপে ধাপে। তাই এবার সকলেই পাবেন নাগরিকত্ব। সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পেতে এবং পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়ায় এটি হবে চূড়ান্ত নথি

 পুরনো নথিগুলোর কী হবে?

অনেকেই ভাবছেন— নতুন কার্ড এলে আধার, ভোটার বা প্যান কার্ড কি বাতিল হবে? তবে এমন কার বলেছে এক একটি কাজের জন্য এক এক ধরনের ডকুমেন্ট ব্যবহার করা হবে, সরকারের স্পষ্ট বার্তা হলো:

  • আধার কার্ড → ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেনের জন্য থাকবে। তাই আধার কার্ডের গুরুত্ব কমবে না।
  • ভোটার আইডি → ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। তাই ভোট গেলে ভোটার কার্ডও থাকতে হবে।
  • রেশন কার্ড → সরকারি রেশন ব্যবস্থায় খাদ্যশস্য পাওয়ার জন্য প্রয়োজন। রেশন সামগ্রী পাওয়ার জন্য রেশন কার্ড থাকতেই হবে।
  • প্যান কার্ড → আয়কর সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার হবে।

অর্থাৎ, পুরনো কার্ডগুলো চালু থাকবে, তবে নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে Smart Citizenship Card-ই হবে মূল নথি। তবে সকল ডকুমেন্টস এর থেকে স্মার্ট হবে সব থেকে বড় নাগরিকত্বের প্রমাণ।

স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ডের সুবিধা

  • পরিচয় যাচাই হবে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ, জালিয়াতের কোন ভয় নেই।
  • বিদেশি অনুপ্রবেশ বা জাল আইডি সমস্যার সমাধান হবে, ফলে অবৈধভাবে যারা ভারতে এসেছে তাদের সমস্যার সৃষ্টি হবে।
  • সরকারি পরিষেবা গ্রহণ সহজ হবে
  • প্রতারণা, তথ্য ফাঁস ও ভুয়া নথি তৈরির প্রবণতা কমবে

সহজভাবে বললে, আধার–ভোটার কার্ড থাকলেও নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে এখন থেকে আসছে এক নতুন অধ্যায়— Smart Citizenship Card। তাই আপনি যদি ভারতের নাগরিক হয়ে থাকেন বা নাগরিকত্ব অপমান করতে চান তাহলে কেন্দ্র সরকারের দেওয়া এই স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড আপনাকে বানাতেই হবে। এছাড়াও কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে সকলকেই এই কার্ড দেওয়া হবে।

Leave a Comment